Tuesday, October 11, 2011

জীবন থেকে নেয়া

ক দশক আগের কথা। ৩রা সেপ্টেম্বর ২০০০ ইং সাল। আমার ক্ষুদে জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লেখার কয়েকটি মাত্র গল্প নিয়ে যেমন তেমন করে একটি বই বানিয়ে ফেললাম। মফস্বল শহরে থেকে একজন মফস্বল লেখক যা করে আর কী। গল্পের বই এর নাম "মৃত্তিকার কষ্ট"। ছোট একজন লেখকের জন্য বড় একটি কিছু।
বইটির প্রকাশনা উৎসব করার সংকল্প করলাম। কক্সবাজারের ততকালীন এডিসি শিক্ষা এটিএম মোস্তফা কামাল'কে প্রধান অতিথি করে কক্সবাজার ইসলামী ফাউন্ডেসন মিলনায়তনে "মৃত্তিকার কষ্ট" এর প্রকাশনা উৎসব অনুষ্টানের স্থান নির্ধারণ করলাম। আপন বন্ধুদের সৃষ্ট অশুভ কাল মেঘ অনুষ্টানে বৃষ্টি বর্ষণ করবে দেখে তাড়াহুড়া করে দ্রুত অনুষ্টান সম্পন্ন করলাম। কিন্তু...

"মৃত্তিকার কষ্ট" এর বার শত (১২০০) কপি বই এর চারশত কপি বই চট্রগ্রাম প্রেস থেকে কক্সবাজার আনার পথে আন্দরকিল্লা থেকে আকস্মিক চিনতাই যাওয়া, কক্সবাজারের বিভিন্ন বই এর দোকান থেকে বই চিনিয়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা (প্রায় ৫০০ শত বই পুড়িয়ে ফেলা হয়) আর বাকী বই এর হদিস এখনো পাওয়া যায়নি। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত্রে আমার উপর সন্ত্রাসীদের অতর্কিত আক্রমন করে আমাকে মারাত্মক আহত করা, এই সব ঝড় এর অশুভ কাল মেঘটি যখন দেখি আমারই অতি নিকটের হিংসুটে কিছু বন্ধুদেরই সৃষ্ট, তখন মাত্র দু'চারটি বই নিয়েই আমি আমার যাত্রা পথ পরিবর্তন করে লেখা লেখির জগৎ থেকে নিরব থাকি। আমার সেই নিরবতার ঘুম ভাঙ্গতে প্রায় দশটি বছর কেটে গেল। মনে করলাম আমার জীবন থেকে দশটি বছর কেড়ে নেয়া হয়েছে। দশ বছর পেছন থেকে নুতুন করে জীবন যাত্রা শুরু হল এই মনে করা ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই। ভাগ্য তাই বলে...

"মৃত্তিকার কষ্ট" আমার যাত্রা রথ ছিল। সেই রথ ওরা সেদিন থামিয়ে দিয়ে ছিল। ঈর্ষা কাতর কিছু ব্যক্তি সেদিন আমার বন্ধুর ভেতর থেকেই আমার জন্য শত্রু সৃষ্টি করেছিল। ওরা মানুষের রক্ত পঁচা, পুঁজ পঁচা, দান ছদকা দেয়া পয়সার দিকেই সব সময় চেয়ে থাকে। মনে করে অন্যরাও ওই আবর্জনায় ভাগ বসাবে। কিন্তু বুঝতে পারেনা সবাই তাদের মত বুঝভাজ দিয়ে মানুষের পকেট থেকে উচ্ছিষ্ট খাওয়ার অপেক্ষায় থাকে না।

((~ওহে ষড়যন্ত্রকারী অমানুষের দল, আজীবনই তোরা রক্ত পঁচা পয়সাই জীবন অতিবাহিত করবি। মানুষ হতে পারবি না। তোমাদের ওই সভা গৃহে সব প্রতারক, জুচ্ছুরিপনা, সার্থান্বেষী ও বেইশ্যা। আমার বালাখানায় এসো, শিখে যাও সু-সংস্কৃত সুবেশ। নন্দিত সন্তান জন্ম দিতে শেখো। দেশের মেধাবী সু-সন্তান গুলো খুঁজে খুঁজে ধ্বংষ করো? বাংলার খেয়ে মারহাবা ধ্বনি দাও? পবিত্র বঙ্গীয় সংস্কৃতির আহার বিনষ্ট করো? কবি লেখক সমাজের পায়ের নোখেরও যোগ্য নও তোমরা। নিজের বগলে কত গন্ধ দেখো। মনুষ্যত্ব শেখো...))
(চলবে)

No comments:

Post a Comment